ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কেমন সব বৈশিষ্টের লোক প্রয়োজন?
এ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য এমন সব লোক প্রয়োজন-
১। যাদের অন্তরে রয়েছে আল্লাহর ভয় ২। যারা আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার তীব্র অনুভূতি রাখে ৩। যারা দুনিয়ার উপর আখিরাতকে প্রাধান্য দেয় ৪। যাদের দৃষ্টিতে নৈতিক লাভ ক্ষতি পার্থিব লাভ ক্ষতির চাইতে অনেক মূল্যবান ৫। যারা সর্বাবস্থায় সেইসব আইন কানুন নিয়মনীতি ও কর্মপন্থার অনুসরন করবে, যা তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রনীত হয়েছে ৬। তাদের যাবতীয় চেষ্টা তৎপরতার একমাত্র লক্ষ্য হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন৭। ব্যক্তিগত ও জাতিগত স্বার্থের দাসত্ব আর কামনা বাসনার গোলামীর জিঞ্জির থেকে তাদের গর্দান হবে সম্পূর্ন মুক্ত। ৮। হিংসা বিদ্বেষ আর দৃষ্টির সংকীর্নতা থেকে তাদের মানসিকতা হবে সম্পূর্ন পবিত্র। ৯। ধন সম্পদ আর ক্ষমতার নেশায় তারা উন্মাদ হবার নয়। ধন দৌলতের লালসা আর ক্ষমতার লিপ্সায় তারা কাতর হবার নয়। ১০। পৃথিবীর ধনভান্ডার হস্তগত হলেও যারা নিখাদ আমানতদার প্রমানিত হবে ১১। ক্ষমতা হস্তগত হলে জনগনের কল্যান চিন্তায় যারা বিনিদ্র রজনী কাটাবে।
১২। আর জনগনও তাদের সুতীব্র দায়িত্বানুভূতিপূর্ন রক্ষনাবেক্ষনাধীনে
নিজেদের জানমাল, ইজ্জত আব্রুসহ যাবতীয় ব্যপারে থাকবে সম্পূর্ন নিরাপদ ও
নিশ্চিন্ত ১৩। যারা বিজয়ীর বেশে কোন দেশে প্রবেশ করলে সেখানকার লোকেরা
গণহত্যা, জনগনের ধ্বংসলীলা, জুলুম নির্যাতন, গুন্ডামী বদমায়েশী এবং
ব্যভিচারের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হবেনা। বরঞ্চ বিজিত দেশের অধিবাসীরা তাদের
প্রতিটি সিপাহীকে পাবে তাদের জানমাল, ইজ্জত আবরু ও নারীদের সতীত্বের পূর্ন
হিফাজতকারী। ১৪। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তারা এতোটা সুখ্যাতি ও উচ্চ
মর্যাদার অধিকারী হবে যে, তাদের সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায় পরায়নতা, নৈতিক ও
চারিত্রিক মূলনীতির অনুসরন এবং প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি পালনের ব্যাপারে গোটা
বিশ্ব তাদের উপর আস্থাশীল হবে।
(১৯৪০ সালে সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী রহঃ কর্তৃক লিখিত ইসলামী বিপ্লবের পথ নামক বই থেকে নেয়া)
No comments:
Post a Comment