আল্লাহ হজরত আদম (আ.) তথা মানুষ সৃষ্টি করেন মাটি দিয়ে। আদমকে সৃষ্টির পর আল্লাহ
তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান দান করেন। ফেরেশতারা নূরের তৈরি হলেও মাটির তৈরি আদম (আ.) তথা মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের কারণেই আপন মহিমায় উজ্জ্বল।
জ্ঞানার্জন মানবিক মর্যাদাকে নিশ্চিত করে। আল্লাহ মানব জাতিকে জ্ঞানদানের জন্য, সঠিক পথে চলার জন্য, অজ্ঞানতার পথ বর্জনের জন্য বিভিন্ন সময় নবী বা প্রেরিত পুরুষ পাঠিয়েছেন। হজরত আদম (আ.) থেকে শেষ নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত যে হাজার হাজার নবী এসেছেন তারা মানব জাতির শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন। আখেরি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানব জাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সেরা শিক্ষক। আল্লাহ বিভিন্ন নবী রাসূলের কাছে আসমানি কিতাব পাঠিয়েছেন। সর্বশেষ নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নাজিলকৃত পবিত্র কোরআনের প্রথম বাক্যটি ছিল 'ইকরা বি ইসমি রাবি্বকাল্লাজি খালাক।' অর্থাৎ পড় সেই প্রতিপালকের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। এই বাক্যের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার প্রিয় নবীকে যেমন জ্ঞানমুখী হওয়ার দীক্ষা দিয়েছেন, তেমনি তার মাধ্যমে মানব জাতিকে এ ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। যে কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'তালাবাল ইলম ফারিদাতুন আলা কুল্লে মুসলিমিনা, অর্থাৎ পুরুষ ও নারী প্রতিটি মুসলমানের জন্যই জ্ঞানার্জন অপরিহার্য কর্তব্য।'
আল্লাহর নবী এই হাদিসের মাধ্যমে একটি আলোকিত জাতি হিসেবে মুসলমানদের বিকশিত করতে চেয়েছেন। জ্ঞানার্জনকে অবশ্য কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করে যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে তা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। মুসলমানদের অবশ্যই জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কোরআন, হাদিসের জ্ঞানকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে জাগতিক অন্য বিষয়েও তাদের সর্বোচ্চ আগ্রহ থাকতে হবে। এ জন্য কঠোর পরিশ্রমেরও তাগিদ দিয়েছেন মানব জাতির মহান শিক্ষক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি ইরশাদ করেছেন, 'উতুবুল ইলমা ওয়ালাও কানা বিসচিন।' অর্থাৎ জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজনে চীনেও যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জ্ঞানার্জনের এবং অন্ধকার থেকে আলোকিত পথে চলার তৌফিক দান করুন।
লেখক : খতিব, আল আমিন জামে মসজিদ, খুলনা।
জ্ঞানার্জন মানবিক মর্যাদাকে নিশ্চিত করে। আল্লাহ মানব জাতিকে জ্ঞানদানের জন্য, সঠিক পথে চলার জন্য, অজ্ঞানতার পথ বর্জনের জন্য বিভিন্ন সময় নবী বা প্রেরিত পুরুষ পাঠিয়েছেন। হজরত আদম (আ.) থেকে শেষ নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত যে হাজার হাজার নবী এসেছেন তারা মানব জাতির শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন। আখেরি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানব জাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সেরা শিক্ষক। আল্লাহ বিভিন্ন নবী রাসূলের কাছে আসমানি কিতাব পাঠিয়েছেন। সর্বশেষ নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নাজিলকৃত পবিত্র কোরআনের প্রথম বাক্যটি ছিল 'ইকরা বি ইসমি রাবি্বকাল্লাজি খালাক।' অর্থাৎ পড় সেই প্রতিপালকের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। এই বাক্যের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তার প্রিয় নবীকে যেমন জ্ঞানমুখী হওয়ার দীক্ষা দিয়েছেন, তেমনি তার মাধ্যমে মানব জাতিকে এ ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। যে কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, 'তালাবাল ইলম ফারিদাতুন আলা কুল্লে মুসলিমিনা, অর্থাৎ পুরুষ ও নারী প্রতিটি মুসলমানের জন্যই জ্ঞানার্জন অপরিহার্য কর্তব্য।'
আল্লাহর নবী এই হাদিসের মাধ্যমে একটি আলোকিত জাতি হিসেবে মুসলমানদের বিকশিত করতে চেয়েছেন। জ্ঞানার্জনকে অবশ্য কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করে যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে তা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। মুসলমানদের অবশ্যই জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে কোরআন, হাদিসের জ্ঞানকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে জাগতিক অন্য বিষয়েও তাদের সর্বোচ্চ আগ্রহ থাকতে হবে। এ জন্য কঠোর পরিশ্রমেরও তাগিদ দিয়েছেন মানব জাতির মহান শিক্ষক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি ইরশাদ করেছেন, 'উতুবুল ইলমা ওয়ালাও কানা বিসচিন।' অর্থাৎ জ্ঞানার্জনের জন্য প্রয়োজনে চীনেও যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জ্ঞানার্জনের এবং অন্ধকার থেকে আলোকিত পথে চলার তৌফিক দান করুন।
লেখক : খতিব, আল আমিন জামে মসজিদ, খুলনা।
No comments:
Post a Comment