হে নবী! আল্লাহকে ভয় করো এবং কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করো না৷ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহই সর্বজ্ঞ ও মহাজ্ঞানী ৷
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا﴾
ওপরে ভূমিকায় বর্ণনা করে এসেছি,
এ আয়াত এমন এক সময় নাযিল হয় যখন হযরত যায়েদ
(
রা)
হযরত যয়নবকে
(
রা)
তালাক দিয়েছিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও অনুভব করেছিলেন এবং আল্লাহর ইশারাও এটিই ছিল যে,
দত্তক সম্পর্কের ব্যাপারে জাহেলীয়াতের রসম-
রেওয়াজ ও কুসংস্কারের ওপর আঘাত হানার এটিই মোক্ষম সময়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে অগ্রসর হয়ে তাঁর দত্তক পুত্রের
(
যায়েদ)
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করা উচিত। এভাবে এ রেওয়াজটি চূরান্তভাবে খতম হয়ে যাবে। কিন্তু যে কারণে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ইতস্তত করেছিলেন তা ছিল এ আশংকা যে,
এর ফলে তাঁর একের পর এক সাফল্যের কারণে যে কাফের ও মুশরিকরা পূর্বেই ক্ষিপ্ত হয়েই ছিল এখন তাঁর বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করার জন্য তাঁরা একটি শক্তিশালী অস্ত্র পেয়ে যাবে। এটা তাঁর নিজের দুর্নামের আশংকা জনিত ভয় ছিল না। বরং এ কারণে ছিল যে,
এর ফলে ইসলামের উপর আঘাত আসবে,
শত্রুদের অপপ্রচার বিভ্রান্ত হয়ে ইসলামের প্রতি ঝুঁকে পরা বহু লোকের মনে ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ধারণা জন্মাবে,
বহু নিরপেক্ষ লোক শত্রুপক্ষে যোগ দেবে এবং স্বয়ং মুসলমানদের মধ্যে যারা দুর্বল বুদ্ধি ও মনের অধিকারী তারা সন্দেহ-
সংশয়ের শিকার হবে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনে করতেন,
জহেলীয়াতের একটি রেওয়াজ পরিবর্তন করার জন্য এমন পদক্ষেপ উঠানো কল্যাণকর নয় যার ফলে ইসলামের বৃহত্তর উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২. ভাষণ শুরু করে প্রথম ব্যাক্যেই নবী করীমের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আশংকার অবসান ঘটিয়েছেন। বক্তব্যের নিগূঢ় অর্থ হচ্ছে দীনের কল্যাণ কিসে এবং কিসে নয় এ বিষয়টি আমিই ভালো জানি। কোন্
সময় কোন্
কাজটি করতে হবে এবং কোন্ কাজটি অকল্যানকর তা আমি জানি।কাজেই তুমি এমন কর্মনীতি অবলম্বন করো না যা কাফের ও মুনাফিকদের ইচ্ছার অনুসারী হয় বরং এমন কাজ করো যা হয় আমার ইচ্ছার অনুসারী। কাফের ও মুনাফিকদেরকে নয় বরং অমাকেই ভয় করা উচিত।
No comments:
Post a Comment